উপজেলা যুব উন্নয়ন কার্যালয়
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর
সদর, ফেনী ।
ভূমিকাঃ যুব সমাজকে দায়িত্ববান, আত্মবিশ্বাসী ও আত্মনির্ভরশীল করে সুসংগঠিত উৎপাদনমুখী শক্তিতে রুপান্তরের লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৮ সালে যুব উন্নয়ন মন্ত্রণালয় সৃষ্টি করে যা পবর্তীতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় হিসেবে পুনঃনামকরণ করা হয়। মাঠ পর্যায়ে যুব কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ১৯৮১ সালে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর গঠন করা হয়।
জাতীয় যুবনীতি অনুসারে বাংলাদেশের ১৮-৩৫ বছর বয়সী জনগোঠীকে যুব হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। এ বয়সসীমার জনসংখ্যা ২০১১ সালের আদম শুমারি ও গৃহ গণনা অনুযায়ী ৮ কোটি ৮০ লক্ষ ২৪ হাজার ৭০৮ জন যা দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। জনসংখ্যার প্রতিশ্রুতিশীল, উৎপাদনক্ষম ও কর্মপ্রত্যাশী এই যুবগোষ্ঠিকে সুসংগঠিত, সুশৃঙ্খল এবং দক্ষ জনশক্তিতে রুপান্তরের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় তাদেরকে সম্পৃক্ত করার লক্ষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়াধীন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর নিরলসভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ, ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি, সর্বোপরি ২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যাপক এই যুবশক্তিকে কাজে লাগানো ছাড়া আমাদের সামনে আর কোন বিকল্প নেই।
আমাদের পক্ষ থেকে আহ্বানঃ
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর বেকার যুবদের দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সম্পক্ত করে তাদের স্বাবলম্বী করার পাশাপাশি দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে। তাদের কর্মস্পৃহা এবং কর্মোদ্দীপনা কাজে লাগিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অবিরাম প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে যুবদেরকে বিভিন্ন উৎপাদনমুখি বিষয়ে পশিক্ষণ দিয়ে অত্যন্ত সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করা হচ্ছে। কিছু জানার থাকলে আমাদের ওয়েব সাইট (www.dyd.gov.bd) ভিজিট করুন।
অধিদপ্তরের সম্পাদনযোগ্য কর্মাবলিঃ
বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের কার্যবন্টন (রুলস অব বিজনেসের ১ নং তফসিল) অনুযায়ী যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের অধীন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপর নিম্নবর্ণিত কার্যাদি অর্পিত হয়েছেঃ
অধিদপ্তরের ভিশণঃ
অধিদপ্তরের উদ্দেশ্যাবলিঃ
ক) উদ্বুদ্ধকরণ, প্রশিক্ষণ, ক্ষুদ্রঋণ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তার মাধ্যমে যুবদের কর্মসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত করাসহ দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ার প্রতিটি স্তরে তাদের সম্পৃক্ত করা।
খ) বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী যুবসংগঠনের মাধ্যমে গোষ্ঠি উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য যুবদের বিভিন্ন গ্রুপে সংগঠিত করা।
গ) স্থানীয় পর্যায়ে যুবসংগঠনের সংখ্যা বৃদ্ধি করা এবং অংশগ্রহণমূলক উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
ঘ) যুবদের গণশিক্ষা কার্যক্রম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা, পরিবেশ উন্নয়ন, সম্পদ সংরক্ষণ ইত্যাদি আর্থ-সামাজিক কার্যক্রমে সম্পৃক্তকরণ এবং সমাজবিরোধী কার্যকলাপ, মাদক দ্রব্যের অপব্যবহার, এইচআইভি/এইডস এবং এসটিডি বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
ঙ) যুবদের ক্ষমতায়ন এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণমূলক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগদানের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস